১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কাল রাত্রিতে বর্বর হামলার পর দেশের অবস্থা যখন টালমাটাল।প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ চোকে পড়েনি তখন ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৪ এপ্রিল হবিগহ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানাজার বাংলোয় ২৭ সেনা অফিসারের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণকে ৪ সেক্টরে ভাগ কার হয়ে ছিল। ৪ সেনা কর্মকর্তাকে ৪টি সেক্টরে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৪ সেক্টরের কাজের সুবিধার্থে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এ বৈঠকেই সেনা কর্মকর্তাগন দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশলী গ্রহন করেণ।ঐই বৈইঠ শেষে মুক্তিযদ্ধের সর্বাধিনাযক আতাউল গণি উসমানি নিজের পিস্তল থেকে ফাকা গুলি করে আনুষ্টানিক ভাবে পার্কবাহিনীর বিরুদ্ধে যদ্ধ ঘোষনা করে।বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযদ্ধের সর্বাধিনাযক আতাউল গণি উসমানি,মুক্তিযুদ্ধের উপ সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেলএম এ রব (বীর উত্তম),সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্রাহ,মেজর জেনারেল সি আর দত্ত,সাবেক সেনা প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর জেনারেল আব্দুল মতিন,মেজর খালেদ মোশররফ মেজর হেলাল মোরর্শেদকমান্ডেন্ট মানিক চৌধরী,ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম,এনামূল হক মস্তোফা শহীদ,এমপি মৌউলানা আসাদ আলী,লে:সৈয়দ ইব্রাহিম,ক্যাপ্টেন কাজীস কবিরউদ্দিন,দেওয়ান আম্রব আলী।
তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানাজার বাংলোটিকে ৪ ঠা এপ্রিল থেকে মুক্তিবাহীনির সদর দপ্তর ও পরে ৩ ও ৪ নং নম্বর সেক্টর কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার কার হয়।১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেনপ্রথসে খালেদ মোশাররফ পরে মেজর হায়দার।৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন প্রথসে মেজর জেনারেল শফিউল্রাহ পরে মেজর নুরুজ্জামান।৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল সি আর দত্পরে কাজী কবির উদ্দিন।৫ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর সওকত আলী।৬ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার বাশার।৭ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী নুরুজ্জামান।৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর উসমান চৌধুরী পরে মেজর এম এ মনসুর।৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর আব্দুল জলিল এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন এমএ মঞ্জুর।১০ নম্বর সেক্টর নৌবাহীনির সৈনিকদের নিয়ে গঠন কার হয়। ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজ আবু তাহের ও পরে প্লাইট লে: এম হামিদুউল্লা। মুক্তি বাহীনিকে ৩টি ব্রিগেডে ভাগ করে।পরিচালনার জন্য ৩ জনকে দায়িত্ব দেন জেনারেল আতাউর গনি হোসমানি।জিয়াউর রহমানের অনুসারে জেট ফোর্স জিয়াউর রহমানের দায়িত্বে,মেজন জেনারেল সাফউল্লাহ সনাম অনুসারে এস ফোর্স মেজর জেনারেল সফিউল্লার দায়িত্বে এবং খালেদ মোসারফের নাম অনুসারে পরর ব্রিগেটকে ফোর্স এর দায়িত্বে দেওয়া হয়। মেজর খালেদ মোশাররফের উপর।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজরকে এম শফিউল্লাহ তার হেড কোয়ার্টার স্পান করেন তেলিয়াপাড়া চা বাগানে। সড়ক ও রেল পথে হিত্তর সিলেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ার গুরুত্ত ছিল অপরিসীম। এখান থেকে মুক্তি বাহীনি বিভিন্ন অভিজান পরিচালনা করা ছাড়াও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তি যুদ্ধের একটি বড় প্রসিক্ষন ক্যাম গড়ে ইঠে।মুক্তি যুদ্ধের র্সবাধীনায়ক আতাউল গনি উসমানী সহ কয়েকটি সেক্টরের কমান্ডার গন কার্জপলক্ষে বিভিন্ন সময়ে তেলিয়াপাড়া সফর করেন।ম্যানাজার বাংলো সহ পাশ্ববর্তি এলাকা ছিল মুক্তি যুদ্ধের সংঘটক ও সেনা নায়কদের পথ চারনায় মূখরিত।১৯৭১সালে ২১ জুনের পরে পাকিস্তান সেনা বাহীনির প্রচন্ড আক্রমনের কারণে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থপিত সেক্টর হেড কোয়টার তুলে নেয়া হয়।এদিকে মহান স্বধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতি সৌধ এলাকা এখন আর্কষনীয় পিকনিক স্পটে পরিনিত হয়েছে।অতন্ত সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন বুলেট আকৃতির স্মৃতি সৌধ,ম্যানাজার বাংলো ও চা বাগানের অর্পূব নৈর্সগিক দৃশ্যকে কেন্ড্র করে এখানে গড়ে উঠেছে পিকনিক স্পট।প্রতি বছর শীত মৌসম আসার সাথে সাথে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য পিপাসুরা পিকনিক করতে ছুটে আসেন তেলিয়াপাড়া চা বাগানে।সাবেক ঢাকা সিলেট মহা সড়ক কিংবা তেলিয়াপাড়া রেল ষ্টেশন হতে প্রায় ২ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ভারতিয় সিমান্ত ঘেষাঁ স্থানে অবস্থিত তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানাজার বাংলো।বাংলো পাশে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি ধারন করে সগৌরবে দারিয়ে আছে বুলেট আকৃতির স্মৃতিসৌধ।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এই স্থানটিকে র্দশনার্তীদের জন্য আরো আর্কষনীয় করে তুলতে পাকা সড়ক,রেষ্ট হাউস নির্মান সহ সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহন করতে অনেক দর্শনাথী দাবি ও জানিয়াছেন।স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম মুক্তি বাহীনির সদর দপ্তর ও যুদ্ধের নান স্মৃতি বিজরিত তেলিয়াপাড়া চা বাগানের এই বাংলোটিকে যাদুঘরে রুপান্তরের দাবি জানিয়ে আসছেন মুক্তিযুদ্ধারা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস